বাংলাদেশ থেকে ইতালি যেতে কত টাকা লাগে [Italy যাওয়ার খরচের তালিকা ২০২৪]

বাংলাদেশ থেকে ইতালি যেতে বর্তমানে, ইতালিতে দুটি ধরণের ভিসা পাওয়া যায়: মৌসুমী ভিসা এবং নন-সিজনাল ভিসা। আর আপনারা যারা বাংলাদেশ থেকে ইতালি যেতে চান।

তাদের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ৪ লাখ থেকে প্রায় ১২ লাখ টাকা খরচ করে স্বপ্নের দেশ ইতালি যেতে পারেন। তবে আপনি চাইলে অনেক কম খরচে ইতালি যেতে পারেন।

আর এর জন্য আপনাকে কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে। বাংলাদেশ থেকে ইতালি যেতে সেই পদ্ধতিগুলো শেয়ার করার জন্য আজকের আর্টিকেলটি লেখা।

বাংলাদেশ থেকে ইতালি যেতে
বাংলাদেশ থেকে ইতালি যেতে

বাংলাদেশ থেকে ইতালি যেতে

ইতালি যেতে কত টাকা লাগে? 

বাংলাদেশ থেকে ইতালি যেতে আগের দিনের তুলনায় আমাদের বাংলাদেশিদের ইতালি যাওয়ার চাহিদা অনেক বেড়েছে। যার কারণে বর্তমানে ইতালির ভিসার খরচ অনেক বেড়ে গেছে।

তাই বাজেটে ইতালির মতো দেশে যেতে চাইলে। তাহলে আপনাকে অবশ্যই আনুষ্ঠানিকভাবে ইতালি যাওয়ার চেষ্টা করতে হবে।

কারণ বাংলাদেশ থেকে সরকারিভাবে ইতালি যেতে পারলে। তাহলে আপনার খরচ হবে মাত্র ০৩ লক্ষ থেকে ০৪ লক্ষ টাকা। যদিও সরকারিভাবে ইতালি যাওয়া কঠিন।

তবে কম খরচে যেতে চাইলে অবশ্যই সরকারি রুটে যাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। কিন্তু সরকারিভাবে সব মানুষের পক্ষে ইতালি যাওয়া সম্ভব নয়।

তাই বেশির ভাগ সময় বিভিন্ন সংস্থার সাহায্য নিতে হয়। বাংলাদেশ থেকে ইতালি যেতে আর এজেন্সির মাধ্যমে বিদেশে যেতে চাইলে। তাহলে আপনার খরচ বেশি হবে।

কারণ, আপনারা যারা এজেন্সির মাধ্যমে ইতালি যাবেন। তাদের ক্ষেত্রে প্রায় ১০ লাখ থেকে শুরু করে ১২ লাখ বা তার বেশি খরচ করতে হবে।

কারণ, এজেন্সিগুলো আপনার ভিসার কাজ করবে, তাই তারা আপনার কাছ থেকে কয়েক লাখ টাকা লাভও নেবে।

ইতালি সিজনাল ভিসার খরচ কত টাকা? 

শুরু করে বলেছি যে, আপনি ইতালিতে সিজনাল ও নন-সিজনাল এই দুই ধরনের ভিসার মাধ্যমে যেতে পারবেন। তবে নন-সিজনাল ভিসার চাইতে ইতালি সিজনাল ভিসার মূল্য কম।

কারণ, যখন আপনি সিল ভিসায় ইতালি যাবেন, তখন আপনি শুধুমাত্র স্বল্প সময়ের জন্য ইতালিজন করতে পারবেন।

বাংলাদেশ থেকে ইতালি যেতে সেক্ষেত্রে সিজনাল ভিসার আবেদন করার সময় আপনাকে দিতে হবে, আপনি কতদিন পর্যন্ত ইতালিতে কাজ করতে পারবেন। তবে সাধারণভাবে ইতালি সিজনাল ভিসার সম্ভাবনা প্রায় ৩০ দিন থেকে শুরু করে ০৬ মাস পর্যন্ত।

আর যখন আপনার সিজনাল ভিসার শেষ হবে, তখন আপনার নিজের ফেরত আসতে হবে।

বাংলাদেশ থেকে ইতালি যেতে আর এই কারনে আপনার ইতালি যাওয়ার মূল্যও কম হবে। কেননা, বর্তমান আপনি মাত্র ০৩ তারিখ থেকে ০৪ দিন টাকা খরচ করে ইতালিতে সিল ভিসায় যেতে পারবেন।

দুবাই থেকে ইতালি যেতে কত টাকা লাগে?

বর্তমান সময়ে দুবাইতে আছেন কিন্তু আপনি ইতালিতে আসতে চান। বাংলাদেশ থেকে ইতালি যেতে সেজন্য দুবাই থেকে ইতালি যেতে কত টাকা তথ্য জানাতে আপনার প্রয়োজন।

তো বর্তমান তালি থেকে দুবাই যেতে ৪ তারিখ থেকে ৫ টাকা লাগবে। যদিওবা আমাদের দেশ থেকে ইতালি যেতে আরো অনেক টাকা।

আর দুবাই থেকে ইতালি যেতে আপনার টাকা খরচ করতে হবে, সেগুলি আপনার টিকিট, ভিসা, খাওয়া এবং অন্যান্য খরচের জন্য বিক্রি করতে হবে।

বাংলাদেশ থেকে ইতালি যেতে কত টাকা লাগে?

আমাদের বাংলাদেশি নাগরিকরা বিভিন্ন ধরনের ভিসায় ইতালি যেতে পারবেন। বাংলাদেশ থেকে ইতালি যেতে সেই ভিসা কথাগুলো, পর্যটন ভিসা, স্টুডেন্ট ভিসা এবং ওয়ার্ক পারমিট ভিসা। আর আপনার ভিসার ধরন অনুযায়ী ইতালি যাওয়ার মূল্যও ভিন্ন ভিন্ন হবে।

সেক্ষেত্রে যারা পর্যায়টন ভিসা ও স্টুডেন্ট ভিয়েত ইতালি যাবে তাদের খরচ হবে ২ লাখ টাকা থেকে ৪ লাখের মতো মূল্য। অবশ্য পর্যটন ভিসা থেকে কম টাকা খরচ করতে হবে।

কিন্তুু মুসলিম যারা ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় ইতালি যাবেন। বাংলাদেশ থেকে ইতালি যেতে তাদের মূল্য দিতে হবে আপনি কোন মাধ্যমে তার উপর।

কারণ, আপনি যদি আপনার ইতালি যাওয়ার ভিসা আবেদন করতে পারেন তাহলে আপনি মাত্র ৪-৫ লাখ টাকা খরচ করে ইতালি যেতে পারবেন।

বাংলাদেশ থেকে ইতালি যেতে তবে মানুষ সচারচরভাবে ইতালি যেতে পারে। তাই মানুষ বিভিন্ন ধরনের এজেন্সির মাধ্যমে ইতালি যায়। আর এজেন্সির মাধ্যমে আপনার দিনে দিনে বেশি টাকা খরচ করতে হবে।

সাধারন সারির এজির উচ্চতর মাধ্যমে ইতালি প্রায় ১০ তারিখ থেকে আপনাকে ১২ মার্চের মতো মূল্য দিতে হবে।

রোমানিয়া থেকে ইতালি যেতে কত টাকা লাগে?

বর্তমান সময়ে রোমনিয়া ইতালি যেতে খুব বেশি প্রয়োজন হয় না। কারণ, আপনি মাত্র ৩,৫০০ ইউরো থেকে ৪,০০০ ইউরো খরচ করে ইতালিতে যেতে পারবেন।

আর আপনাকে একটি বিষয় বলে রাখা ভালো বক্তব্য, রোমানিয়া থেকে ইতালি যেতে আপনার যেমন, আপনার ইতালি যাওয়ার মাধ্যম, সময় এবং থাকা-খাওয়া ইত্যাদি।

স্টুডেন্ট ভিসায় ইতালি যেতে কত টাকা লাগে?

সাধারণভাবে, স্টুডেন্ট ভিসায় ইতালি যেতে প্রায় ৫ থেকে ৬ টাকা খরচ হয়। তবে এই খরচের পরিমান একজন ব্যক্তি নিজের পছন্দের, চাপ প্রয়োগ করার বিষয় সহ তার থাকার উপর চাপ দিতে হবে।

আর ইতালি করতে হলে বিরোধিতামূলক IELTS করতে হবে এমনটি না। কারণ ইতালিতে এমন অনেক বিশ্ববিদ্যালয় আছে, যারা বিদেশি সমস্যা আইইএলটিএস এর ছাড়া গঠন করে।

তবে সব ক্ষেত্রেই আমি আইইএলটিএস এর মাধ্যমে একজন একজন ব্যক্তি ইংরেজী মতামত প্রদান করে।

আরো পড়ুনঃ Redmi Note 10 ফোনের সম্পূর্ণ বাংলা রিভিউ

ইতালিতে কোন কাজের চাহিদা বেশি? 

কোনো একটি দেশের সংবাদ চাহিদা বেশি হতে পারে। আর ইতালিতে উপস্থিত বিষয়ের উপর

সেই সূত্রের নাম দেওয়া দেওয়া।

০১ – প্রযুক্তি ও প্রযুক্তিবিদ্যা: বর্তমান সময়ে ইতালিতে যে চাহিদা আছে, প্রযুক্তিবিদ। কেননা গত বছর ক্ষেত্রে বর্তমানে  ইতাতে প্রযুক্তিবিদ্যা বিভিন্ন ক্ষেত্রে চাহিদা পূরণ করেছে। আর সে সবের মধ্যে কিছু নাম দেওয়া,

  1. সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, 
  2. আইটি সেক্টর, 
  3. ডেটা এনালিটিক্স, 
  4. ওয়েব ডিজাইন,
  5. প্রোগ্রামিং,
  6. ডেটা এনালাইসিস,

বর্তমানে আমাদের সাথে তাল মেলাতে হলে অবশ্যই প্রযুক্তিগত দিক থেকে অগ্রবর্তী হবে। সত্য সে কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রযুক্তিবিদ্যার উন্নতির বিকাশ।

০২ স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা: চিকিৎসা অঞ্চলের চাহিদা সব রাজ্যেই থাকবে। কারণ, মানুষ প্রয়োজন হলে সবার আগে ডক্টরের কাছে যেতে হয়। আর ইতালিতে নার্সিং, ফার্মাসিউটার ইউনিট এবং হেথকে সেক্টরের বড়  চাহিদা রয়েছে।

০৩ – হোটেল এবং পর্যটন: তালি একটি উন্নত দেশ যার কারণে এই হোটেল, রেস্তোরার চাহিদা বেশি থাকবে। এছাড়াও ইতালিতে প্রতি বছর একটি দীর্ঘ মানুষ ভ্রমন করার জন্য যায়। সেজন্য এই দেশের পর্যটন সেক্টরের চাহিদা রয়েছে।

আপনি বর্তমান সময়ে ইতালিতে আপনাকে অনুরোধ করা হয়েছে। আর এই ধরনের কাজ করার জন্য অবশ্যই একজন যোগ্য ব্যক্তি হতে হবে।

ইতালিতে কৃষিকাজের চাহিদা কেমন?

ইতালি নামক এই উন্নত দেশের মোট আয় প্রায় ২.৫% আসে কৃষি খাত থেকে। আর বর্তমান জিএস প্রেক্ষাপটে ইতিলিতে কৃষিকাজ চাহিদা সংখ্যাতা বৃদ্ধির জন্য।

কারণ, বড় নাগরিক নাগরিক বসবাস করেন। সেজন্য ইউজার দেশ থেকে দক্ষ কর্তৃপক্ষ তারা কৃষিকাজ করার জন্য।

কারণ আপনি যদি ইতালির বছরের দিকে লক্ষ্য করেন। যদি আপনি দেখতে পারেন যে একটি সময় ইতালির মোট জনসংখ্যার প্রায় ২৩% মানুষ কৃষির সঙ্গে যুক্ত।

কিন্তু বর্তমানে সেই সংখ্যাটা এসেছে ৫ এর কোঠায়। যার কারণে ইতালি সরকার শক্তি চাহিদা মেটাতে বিদেশী শক্তি জোর।

ইতালিতে কৃষিকাজের সুযোগ সুবিধা নিম্নরূপ

বাংলাদেশ থেকে ইতালি যেতে আপনারা যারা আমাদের বাংলাদেশ থেকে কৃষি ভিসায় ইতালি যাবেন। তারা সেই দেশে কৃষি কাজ করে বেশ কিছু সুবিধা পাবেন। যেগুলো নিচে শেয়ার করা হলো।  

নিয়মিত বেতন ও সুযোগ সুবিধা পাওয়া যায়

বর্তমান সময়ে আপনারা যারা ইতালিতে কৃষি কাজের ভিসায় যাবেন। তারা কাজের বিনিময়ে উচ্চ বেতন নিতে পারবেন। কারণ, ইতালি হলো একটি ইউরোপীয় ইউনিয়ন ভুক্ত একটি দেশ।

যার কারণে এই দেশের শ্রমিকদের জন্য থাকা-খাওয়া, স্বাস্থ্যবীমা সহো আরো বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধা পাওয়া যায়।

ভালো কাজের পরিবেশ 

অন্যান্য দেশের তুলনায় ইতালিতে কৃষি কাজের পরিবেশ অনেকটা মানসম্মত। এই দেশে আপনি একজন শ্রমিক হিসেবে ভালো মানের থাকার ব্যবস্থা পাবেন। এ গুলোর পাশাপাশি আপনি একটা, স্বাস্থ্যকর খাবার সুবিধা পাবেন।

শুধুৃ তাই নয়, বরং ইতালিতে আপনি বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ নিতে পারবেন। আর উক্ত প্রশিক্ষন থেকে আপনি কৃষিকাজে আরো বেশি দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন। 

প্রবাসী জীবনে স্থায়ী হওয়ার সুযোগ রয়েছে

আপনি জানলে অবাক হয়ে যাবেন, ইতালি হলো একটি ইউরোপীয় ইউনিয়ন ভু্ক্ত দেশ। কিন্তুু তারপরও আপনি এই দেশের স্থায়ী নাগরিক হতে পারবেন।

মনে করুন আপনি ইতালিতে কৃষি কাজের ভিসায় গিয়ে মোট ৫ বছর কাজ করলেন। তারপর আপনি সেই দেশে স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

ইতালিতে কৃষিকাজের জন্য বাংলাদেশিদের আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে

আমাদের দেশ কৃষি প্রধান হওয়ার কারণে ইতালিতে বাংলাদেশি শ্রমিকদের নিয়োগের চাহিদা বেড়ে গেছে। কারণ, আমাদের বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর হাজার হাজার মানুষ কৃষি ভিসায় ইতালিতে যাচ্ছে।

উপরের আলোচনায় ইতালিতে শ্রমিকদের সুবিধার কথা শেয়ার করা হয়েছে। আর আপনি যদি এই দেশে কৃষি ভিসায় যেতে পারেন। তাহলে আপনি উপরোক্ত সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।

FAQsপ্রশ্ন: ইতালিতে ভিসার খরচ কত?

উত্তর: ইতালিতে ভিসার খরচ বাংলাদেশি টাকায় ১৬ ইউরো। তবে, ভিসার আবেদন প্রক্রিয়া এবং অন্যান্য খরচ যোগ করলে মোট খরচ ২৫,০০০ থেকে ৩০,০০০ টাকা হতে পারে।

ইতালিতে ভ্রমণের জন্য কত টাকা জমা রাখতে হবে?

উত্তর: ইতালিতে ভ্রমণের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে অর্থ জমা রাখা জরুরি। ইতালিতে ভ্রমণের খরচ নির্ভর করে অনেক কারণের উপর। তবে, সাধারণভাবে, ইতালিতে ভ্রমণের জন্য প্রতিদিন ১০,০০০ টাকা করে জমা রাখা ভালো।

ইতালিতে ভ্রমণের জন্য কোন ভিসা লাগবে?

ইতালিতে ভ্রমণের উদ্দেশ্য এবং সময়কালের উপর নির্ভর করে ভিসার ধরন নির্ধারিত হয়। সাধারণত, ইতালিতে ভ্রমণের জন্য পর্যটন ভিসা (Tourist Visa)ব্যবসায়িক ভিসা (Business Visa), পরিবার পরিদর্শন ভিসা (Family Visit Visa), কর্ম ভিসা (Work Visa), ছাত্র-ছাত্রী ভিসা (Student Visa).

ইতালিতে ভিসার জন্য আবেদন করার জন্য কী কী লাগবে?

ইতালিতে ভিসার জন্য আবেদন করার জন্য নিম্নলিখিত নথিপত্র জমা দিতে হবে:

  • পসপোর্ট
  • ভিসা আবেদনপত্র
  • প্রয়োজনীয় ভিসার ফি

আপনার জন্য আমাদের শেষকথা

বিভিন্ন ভিসার মাধ্যমে ইতালি যেতে কত টাকা লাগে আজকে সেটি নিয়ে বিস্তারিত বলা হয়েছে। আশা করি এই তথ্য গুলো আপনার জন্য অনেক হেল্পফুল হবে।

আর আপনি যদি এমন তথ্য গুলো সহজ ভাষায় জানতে চান। তাহলে নিয়মিত Info Portal BD তে ভিজিট করবেন। ধন্যবাদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *