হ্যালো বন্ধুরা আশা করি আপনারা সকলে ভালো আছেন। আজকের পোস্ট এ আমি আপনাদের সাথে বিষয় টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
অনলাইন নামক এই শব্দ ও কথা টি এর সাথে আমরা সকলেই প্রায় পরিচিত। আর এই অনলাইন এর সাথে যুক্ত থেকে টাকা উপার্জন করার পদ্ধতি কে ই বলে অনলাইন উপার্জন বা অনলাইন ইনকাম। অনলাইন থেকে ইনকাম এর সাথে আমরা কম বেশি প্রায় সকলেই পরিচিত, কিন্তু এ সম্পর্কে সকলের ধারণা সমান নয়। কারো হয়তো কম আবার কারো হয়তো বেশি।
অনলাইন থেকে কি আসলেই টাকা ইনকাম সম্ভব
অনলাইন থেকে ইনকাম কথা টি সম্পর্কে আমরা প্রায় সকলেই অবগত। কিন্তু অনেকে মনে করেন অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম সম্ভব না। অনেকেই টাকা ইনভেস্ট করেও কিছু করতে পারে না। এর মূল কারণ হলো তারা সেই কাজ সম্পর্কে কিছু না জেনেই কিছু দালাল এর কথা শুনে কাজ করতে যান এবং ঠকে যান। আপনারা যদি অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করতে চান তো আগে আপনাকে সেই কাজ সম্পর্কে জানতে হবে। সত্যি বলতে অনলাইন থেকে টাকা আয় করার উপায় এর কোনো কমতি নেই। একটু খুজলেই সেটা পাওয়া যায়।
অনলাইন থেকে ইনকাম কেন করবো
অনলাইন থেকে ইনকাম কেন করবেন আপনি সেটা পুরোটাই আপনার উপর নির্ভর করে। যদি আপনি একজন স্টুডেন্ট হন তো আপনি বাবার টাকায় না চলে নিজে সাবলম্বী হতে পারে অনলাইন থেকে ইনকাম এর মাধ্যমে। আবার যারা চাকুরীজীবি তারা প্রতি মাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ একটি টাকা পান।
কিন্তু অনেকে চান যে সেই টাকার থেকে এক্সট্রা কিছু টাকা ইনকাম করবো। এরজন্য আপনাদের জন্য ভালো একটি মাধ্যম হলো অনলাইন। এখান থেকে আপনি যেকোনো সময় কাজ করতে পারবেন।
অনলাইন থেকে ইনকামের কিছু ক্যাটেগরি
নিচে কিছু ভালো ক্যাটেগরি আপনাদের সাথে শেয়ার করছি যা থেকে আপনারা ভালো পরিমাণ অর্থ উপার্জন করতে পারবেন অনলাইন থেকে।
মার্কেটিং করে
বর্তমান এই যুগে আমরা প্রায় সকলেই তথ্য প্রযুক্তি এর উপর বেশ নির্ভর হয়ে পড়েছি। এখন আর আমরা আগের মতো গাড়ির জ্যাম সহ্য করে মার্কেটে গিয়ে ভীড়ের ঠেলাঠেলি না করেই বাসায় বসে হাতে থাকা মোবাইল দিয়েই অনলাইন থেকেই কেনা কাটা করছি।
এক্ষেত্রে আপনি যদি একজন সেলার হন তো এই উপায় আপনি বেছে নিতে পারেন। অনেকেই একটি পেজ খুলে মাসে হাজার থেকে লক্ষ টাকা ইনকাম করছে এই উপায় অবলম্বন করে। এই উপায়ে আপনিও যদি ইনকাম করতে চান তো আপনাকে অনেক ধৈর্য রাখতে হবে এবং মার্কেটিং পলিসি বুঝতে হবে। আর এই উপায় অনলাইন থেকে ইনকাম করার অনেক সহজ একটি উপায়।
ব্লগিং করে ইনকাম
ব্লগিং করে ইনকাম করার উপায় টি অনেক পূরোনো একটি পদ্ধতি। কিন্তু এই উপায়ে অনলাইন থেকে প্রতি মাসে বেশ ভালো অংকের টাকা ইনকাম করা সম্ভব। এর জন্য দরকার মূলত মেধা, শ্রম ও ধৈর্য।
ব্লগ মূলত একটি ডিজিটাল নিউজ পেপার এর মতো। সেখানে আপনি যে বিষয় টি জানেন তাই লিখবেন। আর আপনার লিখা বিষয় টি যার দরকার হবে সে পড়বে। এই যে আপনি এখন যে সাইট থেকে আর্টিকেল টি পড়ছেন সেটিও একটি ব্লগ সাইট আর যে পোস্ট পড়ছেন সেটি হলো ব্লগ।
প্রতিটা মানুষই কোনো না কোনো বিষয় খুব ভালো জানেন। তো যে যেটা জানে সেই সম্পর্কে লিখাই ভালো। এতে ইনকাম ও ভালো হয়। কিন্তু এখন প্রশ্ন হলো আমি ব্লগ লিখবো তো কোথায় লিখাবো?
Read Also – সিপিএ মার্কেটিং কি ?
আপনি লিখা লিখির জন্য দুইটি উপায় অবলম্বন করতে পারেন। ১. নিজে সাইট বানিয়ে লিখবেন, ২. অন্যর সাইটে লিখবেন।
এখান থেকে ১ম উপায়ে কাজ করতে হলে আপনাকে আগে একটি ওয়েবসাইট বানাতে হবে। এর জন্য আপনাকে প্রথমে কিছু টাকা খরচ করে হোস্টিং ও ডোমেইন কিনে সাইট বানাতে হবে তারপর সেখানে লিখা লিখি করতে হবে। এর পর আপনি যখন গুগল এডসেন্স এর আবেদন করবেন তখন তারা যদি মনে করে এডসেন্স পাওয়ার যোগ্য এই সাইট তব্য এডসেন্স দিবে। আর না দিলে বলে দিবে এডসেন্স না পাওয়ার কারণ কি। এডসেন্স পেলে এই উপায় থেকে ইনকাম শুরু হবে আপনার।
আর ২য় উপায় টি থেকে ইনকাম করতে হলে, আপনাকে কোনো বিশ্বস্ত ব্যক্তিকে খুজতে হবে যে নিজের সাইটে পোস্ট লিখাতে পোস্ট রাইটার খুজছে। তার সাথে কথা বলে আপনি পোস্ট লিখতে পারেন।
ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম
বর্তমানে মানুষ যেখানে কাজ করছে বেশি সেটি হলো ফ্রিল্যান্সিং এ। এটি একটি মুক্ত পেশা। এখান থেকে মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করা সম্ভব। এগুলো মূলত একটি ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটপ্লেস। এখান থেকে কাজ করতে হলে আপনাকে ইংরেজি এর উপর দক্ষ এবং আপনি যে বিষয়ে কাজ করতে চাচ্ছেন সেই বিষয়ে দক্ষ হতে হবে।
এখানে বিদেশি বায়াররা তাদের কাজ করার জন্য আপনাকে ভাড়া করবে। তাদের কাজটি সঠিক ভাবে করতে পারলে তারা আপনাকে টাকা দিবে যা আপনাকে ব্যাংক এর মাধ্যমে নিতে হবে। তবে ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে আপনাকে যেকোনো একটি বিষয়ে দক্ষ হতে হবে, যেমনঃ গ্রাফিক্স ডিজাইন, কন্টেন্ট রাইটিং, কপিরাইটিং, ওয়েবসাইট তৈরি, ওয়েবসাইট ডিজাইন ইত্যাদি। আপনি যে কাজ ভালো পারেন সেই কাজের উপরে আপনি ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন।
সোশাল মিডিয়া থেকে আয়
বর্তমানে ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম, টুইটার ইত্যাদি সোশাল মিডিয়া ব্যপক হারে ব্যবহৃত হচ্ছে। তবে এগুলো শুধু কথা বা চ্যাট করে সময় নষ্ট না করে ইনকাম করার জন্য আপনি ব্যবহার করতে পারেন। এর জন্য আপনার এই সোশাল মিডিয়ায় গুলো এর মধ্য যে কোনো একটিতে একটা একাউন্ট বা পেজ থাকতে হবে আর সেই একাউন্ট বা পেজে অনেক ফলোয়ার ও লাইক থাকতে হবে। তাহলে আপনি বিজ্ঞাপণ কোম্পানী এর থেকে সেখানে বিজ্ঞাপণ লাগিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
ইউটিউব থেকে আয়
আপনার মধ্য যদি কোনো প্রতিভা থাকে এবং সেটা যদি আপনি ভিডিও এর মাধ্যমে প্রকাশ করতে পারেন তাহলে এই উপায় টি আপনার জন্যই। আপনি চাইলে নিজের প্রতিভা এর বিষয়ে ভিডিও বানিয়ে সেই ভিডিও ইউটিউব এ ছেড়ে টাকা আয় করতে পারবেন। তবে এখন ইউটিউব এর নিয়ম পরিবর্তন হয়েছে। এখন আপনার ইউটিউব চ্যানেলে মোট ১ হাজার সাবস্ক্রাইবার ও ৪ হাজার ওয়াচ টাইম থাকতে হবে টাকা ইনকাম এর জন্য। এটি হয়ে গেলে এর পর আপনি ইউটিউব মনিটাইজেশন এর থেকে এডস নিয়ে কিংবা এডসেন্স থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
তো প্রিয় বন্ধুরা আশা করছি আপনাদের কাছে আজকের এই পোস্ট টি ভালো লেগেছে। মূল কথা হলো এটি যে আপনাদের যে কোনো কাজের জন্য ধৈর্য থাকতে হবে এবং কাজের প্রতি দক্ষতা। তো এরকম পোস্ট পেতে প্রতিদিন ভিজিট করতে থাকুন Tricknotice. তো ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।