স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির দোয়া। স্মরণশক্তি বাড়ানোর উপায়
সুপ্রিয় পাঠকবৃন্দ । আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ । আপনাদের সকলের সুস্থতা এবং সুদীর্ঘ নেক হায়াত কামনা করে আরম্ভ করছি লেখা। আজকের নির্ধারিত টপিক “স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির দোয়া। স্মরণশক্তি বাড়ানোর উপায় ” এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানোর চেষ্টা করব । সুতরাং সাথেই থাকুন।
স্মৃতিশক্তি কি ও কেন ?
মহান আল্লাহ প্রদত্ত শ্রেষ্ঠ একটি নেয়ামত হলো স্মৃতিশক্তি । আর মস্তিষ্কে ধারণকৃত বিভিন্ন তথ্য উপাত্তকে স্মৃতি বলা হয়। এই সিস্টেমে প্রথমে তথ্য সংগ্রহ করে মস্তিষ্কে জমা করা হয় এবং প্রয়োজন অনুযায়ী সেই তথ্য আবার খুঁজে নিয়ে আসা হয় । সমাজে প্রতিষ্ঠিত হতে একজন মানুষের সুস্থ স্মৃতিশক্তির বিকল্প কিছু নেই ।
স্মৃতিশক্তির প্রকারভেদ:
মস্তিষ্কে জমা করার তথ্য অনেক সময় হারিয়ে যায় । আবার অনেক ক্ষেত্রে হারিয়ে না গেলেও সময় মত খুঁজে পাওয়া যায় না । মূলত মানসিক চাপের কারণেই এমনটি হয়ে থাকে । এবং এটাই দুর্বল স্মৃতি শক্তির প্রধান লক্ষণ । স্মৃতিশক্তিকে তিন প্রকারে বিভক্ত করা হয় । ১. সংবেদী স্মৃতি ২. স্বল্প মেয়াদি স্মৃতি ৩. দীর্ঘমেয়াদি স্মৃতি ।
স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির দোয়া
স্মৃতিশক্তি প্রত্যেকটি মানুষের অমূল্য একটি সম্পদ । সঠিক ব্যবহারে মানুষের স্মৃতিশক্তি অটুট থাকে এবং বয়স অনুপাতে ধীরে ধীরে তা বাড়তে থাকে । অযত্ন এবং বয়স অনুযায়ী কখনো স্মৃতিশক্তি কমেও যায় । তবে মানুষ ইচ্ছা করলে তার স্মৃতিশক্তিকে বিভিন্ন দোয়া ও আমলের মাধ্যমে অটুট রাখতে পারে । এমনই কিছু দোয়া এবং আমলের কথা উল্লেখ করা হচ্ছে ।
স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির ১ নং দোয়া :
★ সকাল সন্ধ্যা এবং প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর (১৩ বার ) বেশি করে এই দোয়াটি পাঠ করা ।
رَّبِّ زِدۡنِیۡ عِلۡمًا
বাংলা উচ্চারণ: রব্বি যিদনি নিয়ে ইলমা ।
অনুবাদ: হে আমার পালনকর্তা ! আপনি আমার জ্ঞান বৃদ্ধি করে দিন ।
এটি মূলত সূরা ত্বহার ১১৪ নং আয়াতের শেষ অংশ । এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ এবং তাৎপর্য বহুল।
পুরো আয়াতটি এই –
فَتَعٰلَی اللّٰہُ الۡمَلِکُ الۡحَقُّ ۚ وَلَا تَعۡجَلۡ بِالۡقُرۡاٰنِ مِنۡ قَبۡلِ اَنۡ یُّقۡضٰۤی اِلَیۡکَ وَحۡیُہٗ ۫ وَقُلۡ رَّبِّ زِدۡنِیۡ عِلۡمًا
অনুবাদ: সত্যিকার অধীশ্বর আল্লাহ মহান। আপনার প্রতি আল্লাহর ওহী সম্পুর্ণ হওয়ার পূর্বে আপনি কোরআন গ্রহণের ব্যপারে তাড়াহুড়া করবেন না এবং বলুনঃ হে আমার পালনকর্তা, আমার জ্ঞান বৃদ্ধি করুন।( সূরা ত্বহা, ১১৪)
স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির ২ নং দোয়া:
★ স্মরণশক্তি বৃদ্ধি করার জন্য এবং স্মৃতিভ্রম দূর করার জন্য প্রত্যেক নামাজের পর কিংবা পড়া শুরু করার পূর্বে নিচের এই আয়াতটি ২০ বার ১১ বার অথবা ৭ বার পাঠ করা।
رَبِّ اشۡرَحۡ لِیۡ صَدۡرِیۡ ۙ. وَیَسِّرۡ لِیۡۤ اَمۡرِیۡ ۙ.وَاحۡلُلۡ عُقۡدَۃً مِّنۡ لِّسَانِیۡ ۙ .یَفۡقَہُوۡا قَوۡلِیۡ ۪ .
( সূরা ত্বহা,২৫–২৮)
বাংলা উচ্চারণ: রব্বিশ রহলি সদরি,ওয়া ইয়াসসিরলি আমরি,ওহাসলুল উকদাতাম মিললিসানি ,ইয়াফ কহু কওলী ।
স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির ৩ নং দোয়া:
★ সকাল সন্ধ্যা কিংবা পড়া শুরু করার পূর্বে এই দোয়াটি বেশি করে পাঠ করুন ।
ربي يسر ولا تعسر وتمم علينا بالخير .
বাংলা উচ্চারণ: রব্বি ইয়াসসির ওলা তুআসসির ও তাম্মিম আলাইনা বিল খইর ।
স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির ৪ নং দোয়া:
★নিচের আয়াতটি প্রতিদিন ফজরের নামাজের পর দশবার তেলাওয়াত করা হলে স্মৃতিশক্তির দুর্বলতা কেটে যাবে ইনশাআল্লাহ।
فَفَہَّمۡنٰہَا سُلَیۡمٰنَ ۚ وَکُلًّا اٰتَیۡنَا حُکۡمًا وَّعِلۡمًا ۫ وَّسَخَّرۡنَا مَعَ دَاوٗدَ الۡجِبَالَ یُسَبِّحۡنَ وَالطَّیۡرَ ؕ وَکُنَّا فٰعِلِیۡنَ
অনুবাদ: অতঃপর আমি সুলায়মানকে সে ফায়সালা বুঝিয়ে দিয়েছিলাম এবং আমি উভয়কে প্রজ্ঞা ও জ্ঞান দিয়েছিলাম। আমি পর্বত ও পক্ষীসমূহকে দাউদের অনুগত করে দিয়েছিলাম; তারা আমার পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করত। এই সমস্ত আমিই করেছিলাম।
(আল আম্বিয়া – ৭৯)
স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির ৫ নং দোয়া:
★ যে ব্যক্তির স্মরণশক্তি দুর্বল সে প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর ডান হাত কপালের চুল স্পর্শ করে ১১ বার পড়বে আল্লাহ তাআলার এই সিফাতি নাম– يا قوي
( ইয়া কবিয়্যু )
স্মরণশক্তির দুর্বলতার ১ নং আমল:
★ নিজেরা একটি সাতবার তেলাওয়াত করে ফুঁক দিলে অথবা লিখে মাথায় বাধলে স্মরণশক্তির দুর্বলতা কেটে যাবে ইনশাআল্লাহ।
سَنُقۡرِئُکَ فَلَا تَنۡسٰۤی ۙ .اِلَّا مَا شَآءَ اللّٰہُ ؕ اِنَّہٗ یَعۡلَمُ الۡجَہۡرَ وَمَا یَخۡفٰی ؕ.
(সূরা আলা ৬–৭ )
স্মরণশক্তির দুর্বলতার ২ নং আমল:
★ স্মরণশক্তির দুর্বলতা জনিত রোগের জন্য নিজের আয়াতটি জাফরান কালিদ্বারা লিখে মাথায় বাধলে খুবই উপকার পাবে ।
اِقۡرَاۡ بِاسۡمِ رَبِّکَ الَّذِیۡ خَلَقَ ۚ خَلَقَ الۡاِنۡسَانَ مِنۡ عَلَقٍ ۚ اِقۡرَاۡ وَرَبُّکَ الۡاَکۡرَمُ ۙ.الَّذِیۡ عَلَّمَ بِالۡقَلَمِ ۙ عَلَّمَ الۡاِنۡسَانَ مَا لَمۡ یَعۡلَمۡ ؕ
অনুবাদ: পাঠ করুন আপনার পালনকর্তার নামে যিনি সৃষ্টি করেছেন। সৃষ্টি করেছেন মানুষকে জমাট রক্ত থেকে।পাঠ করুন, আপনার পালনকর্তা মহা দয়ালু ।যিনি কলমের সাহায্যে শিক্ষা দিয়েছেন,শিক্ষা দিয়েছেন মানুষকে যা সে জানত না। ( সূরা আলাক, ১–৫ )
স্মৃতিভ্রম দূর করার ১ নং আমল :
★ স্মৃতিভ্রম দূর করার জন্য ইশার নামাজের পর শোবার সময় নিচের আয়াতটি এগারো বার পাঠ করুন । ইনশাল্লাহ উপকার হবে ।
قَالُوۡا سُبۡحٰنَکَ لَا عِلۡمَ لَنَاۤ اِلَّا مَا عَلَّمۡتَنَا ؕ اِنَّکَ اَنۡتَ الۡعَلِیۡمُ الۡحَکِیۡمُ
অনুবাদ: তারা বলল, তুমি পবিত্র! আমরা কোন কিছুই জানি না, তবে তুমি যা আমাদিগকে শিখিয়েছ (সেগুলো ব্যতীত) নিশ্চয় তুমিই প্রকৃত জ্ঞানসম্পন্ন, হেকমতওয়ালা। (আল বাকারা – ৩২)
স্মৃতিভ্রম দূর করার ২ নং আমল :
★ প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর ১৩ বার এই আয়াতটি পাঠ করুন।
رَّبِّ زِدۡنِیۡ عِلۡمًا
এবং ১১ বার এই আয়াতটি পাঠ করুন ।
رَبِّ اشۡرَحۡ لِیۡ صَدۡرِیۡ ۙ. وَیَسِّرۡ لِیۡۤ اَمۡرِیۡ ۙ.وَاحۡلُلۡ عُقۡدَۃً مِّنۡ لِّسَانِیۡ ۙ .یَفۡقَہُوۡا قَوۡلِیۡ ۪ .
স্মরণশক্তি বৃদ্ধির পূর্বশর্ত :
স্মরণশক্তি বৃদ্ধির পূর্ব শর্ত হলো গোনাহ মুক্ত হওয়া । কেননা আলো ও অন্ধকার একত্রে হতে পারে না । জ্ঞান হচ্ছে আলো আর গুনাহ হলো অন্ধকার ।
প্রতিনিয়ত পাপ করে গেলে স্মৃতিশক্তি দুর্বল হয়ে যায় । অপরাধবোধে হৃদয় সংকীর্ণ হয়ে থাকে।
তাই জ্ঞানের আলোকিত হতে হলে অবশ্যই গোনাহ থেকে দূরে থাকতে হবে। তবে জ্ঞানের প্রদীপ প্রজ্বলিত হবে এবং দিন দিন বাড়তে থাকবে ।
এক্ষেত্রে ইমাম শাফি রহ:এর বিখ্যাত ঘটনাটি উল্লেখ করার মতো । তিনি বলেন আমি আমার শাইখ ওয়াকি রহ: কে আমার স্মৃতিশক্তির ব্যাপারে অভিযোগ করেছিলাম এবং তিনি শিখিয়েছিলেন আমি যেন পাপ থেকে নিজেকে দূরে রাখি । তিনি বলেন আল্লাহর জ্ঞান হলো একটি আলো এবং আল্লাহর আলো কোন পাপাচারি কে দান করা হয় না ।
বোঝা গেল পাপ মানুষকে উদ্যোগ এবং দুঃখের দিকে ঠেলে দেয়। ভোতা বানায় মানুষের এগিয়ে যাওয়ার অনুভূতি । তাই সকলের উচিত পাপ থেকে সর্বদা বেঁচে থাকার সর্বাত্মক চেষ্টা করা ।
স্মরণশক্তি বৃদ্ধির উপায় সমূহ :
স্মরণশক্তি বৃদ্ধির অনেকগুলো উপায় আছে ।
যেমন : ১.ইখলাস ২. চেষ্টা অব্যাহত রাখা ৩. নিয়মিত আমল করা ৪. অন্যদেরকে শেখানো ৫. পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ ৬. যথাযথ বিশ্রাম ৭. অপ্রয়োজনীয় কাজ থেকে বিরত হওয়া ৮ . আল্লাহর প্রতি পূর্ণ ভরসা ইত্যাদি ।
এগুলোর প্রত্যেকটি নিয়ে এবার সংক্ষেপে একটু করে জানুন।
১. ইখলাস
সফলতা অর্জনের পিছনে ইখলাসের কোন বিকল্প নেই । তেমনি ভাবে স্মরণশক্তি ভালো রাখতেও ইখলাসের গুরুত্ব অনেক বেশি । ইখলাসের মূল কথাই হচ্ছে বিশুদ্ধ নিয়ত । এ সম্পর্কে পবিত্র কোরআনের সূরা বাইয়্যিনাতে নির্দেশনা এসেছে। সহীহ বুখারী এবং মুসলিমের প্রথম হাদীসটি হচ্ছে এই নিয়তকেন্দ্রিক । সুতরাং সকলের নিয়ত এমন হওয়া উচিত যে আল্লাহ তাআলা স্মৃতিশক্তি যেন ইসলামের কল্যাণে বাড়িয়ে দেন ।
২. স্মরণ রাখার চেষ্টা অব্যাহত রাখা।
সকলের মুখস্ত করার পদ্ধতি বা স্মরণ রাখার শক্তি এক নয় । কেউ জোরে পড়লে দ্রুত মুখস্ত হয় আর কেউ আস্ত আস্তে পড়লে দ্রুত মুখস্ত হয়। কেউ দেখে দেখে পড়লে দ্রুত মুখস্ত হয় আবার কেউ চোখ বুঝে পড়লে দ্রুত মুখস্ত হয় । যার যেভাবেই মুখস্থ হোক না কেন চেষ্টা অব্যাহত রাখতেই হবে । অনেক ক্ষেত্রে পড়া দ্রুত মুখস্ত হয়ে যায় কিন্তু পরে আবার মনে থাকে না । তাহলে বোঝা গেল তার ওই পড়াটি মুখস্ত হয়নি । তাকে আরো পড়তে হবে । আর যার মুখস্ত হতে দেরি হয় তাকে তো অবশ্যই নিয়ম তান্ত্রিক চেষ্টা করে যেতে হবে। কথায় আছে পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসৃতি।
৩. নিয়মিত আমল করা
ইতোপূর্বে যা শেখা হয়েছে । যা স্মৃতির পাতায় আছে তার ওপর আমল করা । পড়ার জিনিস হলে তা বারবার পড়ে যাওয়া । কাজের বিষয় হলে সংশ্লিষ্ট কাজে নিয়োজিত হওয়া । কাজের বিষয়ে যত বেশি আমল বা বাস্তব প্রয়োগ করা হবে স্মৃতিশক্তি তত বেশি ঠিক থাকবে । এমনকি স্মরণ শক্তি বেড়ে যাবে । মস্তিষ্কে বিষয়গুলো স্থায়ীভাবে গেঁথে যাবে ।
৪. অন্যদেরকে শেখানো
যা শেখা হয়েছে সম্ভব হলে তা অন্যদেরকে শেখানো উচিত । কেননা একই জিনিস যখন বারবার চর্চা করা, হয় অন্যকে শেখানো হয় তখন তার স্মৃতির পাতায় স্থায়ীভাবে আবদ্ধ হয় । এভাবেও স্মরণশক্তি বৃদ্ধি করা যায়।
৫. পুষ্টিকর খাবার খাওয়া ।
স্মরণশক্তি বাড়াতে উপযুক্ত খাদ্যাভাসের বিকল্প নেই । মস্তিষ্কের গঠন ও উন্নতির জন্য নিয়মিত উপযোগী খাবার গ্রহণ করা জরুরী । পরিমাণ মতো আমিষ, চর্বি , শর্করা, সবজি ও শক্তিবর্ধক খাদ্য মধু, যায়তুন, দুধ ইত্যাদি পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার খাদ্য তালিকায় রাখা স্মৃতিশক্তি ও মস্তিষ্কের কার্যকারিতায় বড় ভূমিকা রাখে ।
৬. যথাযথ বিশ্রাম নেওয়া ।
স্মরণ শক্তি বাড়াতে মস্তিষ্ককে বিশ্রাম দেওয়ার খুব প্রয়োজন । কাজের ফাঁকে অবশ্যই নিরিবিলি পরিবেশে সময় কাটানো যায় । দৈনিক ঘুমের ব্যাপারেও সতর্ক থাকা উচিত । নিয়মিত ঘুম না হলে মস্তিষ্কের উপর চাপ পড়ে । শারীরিক বিভিন্ন রোগ দেখা দেয় । তাই স্মরণ শক্তি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে যথাযথ বিশ্রাম জরুরি।
৭. অপ্রয়োজনীয় কাজ ছেড়ে দেওয়া ।
স্মরণ শক্তি বাড়াতে প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো কন্টিনিউ করা আর অপ্রয়োজনীয় বিষয়গুলো ছেড়ে দেওয়া দরকার । অপ্রয়োজনীয় বিষয়গুলো বারবার সামনে এলে প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো দূরে যায় । তাই সতর্ক থাকা।
৮. আল্লাহর উপর ভরসা করা ।
স্মরণ রাখা মূলত একটি কষ্ট সাধ্য কাজ । কোন কিছু সহজে মুখস্ত না হলে হতাশ হওয়ার কিছু নেই । নিয়মিত পরিশ্রম করা হলে স্মৃতিশক্তি বাড়িয়ে দেয়। বিভিন্ন মনীষীদের এরকম হাজারো দৃষ্টান্ত আছে । যাদের প্রথমদিকে স্মৃতিশক্তি খুবই কম ছিল কিন্তু পরবর্তীতে তারা বিখ্যাত হয়েছেন । তাই স্মৃতিশক্তি বাড়াতে মহান আল্লাহর উপর আস্থা ও বিশ্বাস রেখে চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার কোন বিকল্প নেই ।
শেষকথাঃ
প্রিয় বন্ধুরা এতক্ষন আমরা আলোচনা করলাম স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির দোয়া নিয়ে । আশা করি আজকের আলোচনা থেকে আপনারা উপকৃত হয়েছেন । এরকম আরো লেখা পেতে চাইলে আমাদের সাথে থাকুন । ধন্যবাদ
গ্রন্থনা: মাওলানা শরিফ আহমাদ
লেখক ও শিক্ষক
আরো পড়ুনঃ বাংলাতে বায়োডাটা লেখার নিয়ম
[…] স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির দোয়া […]